জায়েদ কে, তার কোন ছবির নাম কি কেউ বলতে পারবে নায়িকা পপির প্রশ্ন

বিনোদন গ্যালারী ডেস্কঃ
শিল্পী সমিতির এক সময়ের নেতা ও প্রিয়দর্শিনী অভিনেত্রী পপি বলেছেন, জায়েদটা কে ? জায়েদের একটা সুপারহিট বা জনপ্রিয় সিনেমা’র নাম বলতে পারবে কেউ? তার ভুলকে কেন সবাই আড়াল করার চেষ্টা করছে? তাও এত এত ভুল। অ’ভিযোগের পাহাড় তার বি’রুদ্ধে। তার সিনেমা কয়টা, সে কি শিল্পী কিংবা তার সদস্যপদকে কে চ্যালেঞ্জ করবে?
একটা মানুষ সিনিয়রদের টুপি পরিয়ে এই সদস্যপদগুলো খালি করে দিচ্ছেন। রুবেল ভাই, ডিপজল ভাই এখনো তো কিছুই বুঝতে পারছেন না কি হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই টের পাবে। জায়েদ মূলত এসেছে নিজের পাবলিসিটি করতে,সিনেমা করতে আসেনি।
পপি বলেন,চলচ্চিত্রের সবাই মিলেমিশে চলছিল একসঙ্গে। এখানে ব্যক্তি রেষারেষিটা শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। আর সেটি নোংরামির অবস্থায় পৌঁছেছে জায়েদ খান নির্বাচনে আসার পর থেকে। জসিম ভাই, ইলিয়াস ভাই, ওম’র সানি ভাই, বাপ্পারাজ ভাই,রিয়াজ, ফেরদৌস, আমিন খান, অমিত হাসান, শাকিব খান, ববিতা আপু, শাবানা আপু, মৌসুমী ও শাবনূর আপু, আমি, পূর্ণিমা- সবাই কিন্তু সোনালী সময় পার করে এসেছি। অনেক শিল্পী ছিলো। প্রতিযোগিতা অনেক বেশি ছিলো। তখন কিন্তু শিল্পীদের মধ্যে এতো বিভাজন ছিলো না।
যারা আজ রাস্তায় নেমেছেন তারা অনেকেই শাবানা আপা, কবরী আপা, ববিতা আপাদের সাথে কাজ করেছেন।আমাদের প্রজন্মের সঙ্গেও কাজ করেছেন। এখনকার প্রজন্মের সঙ্গেও কাজ করছেন। বাদ পড়াদের মধ্যে এমন শিল্পীও আছে যার সিনেমা’র সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এরা খুব বেশি অর্থ, সম্মান বা পরিচিতি পাননি।
শিল্পী সমিতির সদস্য হিসেবে গর্ববোধ করেন। সেটাও কেড়ে নেয়া হলো। আজ তাদের মনের কি অবস্থা?শিল্পী হিসেবে আমাদের খা’রাপ লাগলেও কিছু করার ছিলো না।
পপি আরও বলেন, ‘অনেকে বিশ বছর আগে সিনেমা কাজ করেছেন। এখন নিয়মিত নন বলে অনেকের সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হচ্ছে। যদি এই নিয়মে কাউকে বাদ দেয়া হয় তাহলে তো শত শত শিল্পীর সদস্যপদ থাকবে না।
এটিএম শামসুজ্জামান আংকেল, ফারুক ভাই, সোহেল রানা ভাই, কাঞ্চন ভাইদের মতো কিংবদন্তিরাও বাদ পড়বেন। কারণা এনারা অনেকদিন সিনেমায় কাজ করেন না। শাবানা-কবরী-ববিতা আপারাও থাকতে পারবেন না।